Crush – রাসেল আতিফ মীনময় এর লেখা বিশেষ গল্প

অদ্ভূত!
পুরো জীবনটাই।
নিজেকে যাই ভাবি না কেন ,প্রতিনিয়ত দৌড়ের উপর আছি।
বাস্তববাদী,উদার,প্রগতিশীল বা বুঝদার ।
কোথায় যেন একটা ফাঁক রয়েই যায়।
যুক্তি দিয়ে যতই বুঝাই যুক্তিহীনতাই শেষ পর্যন্ত ভর করে।
ইমশোন আছে বলেই কী?
অনেক চেষ্টা করেছি অলক্ষ্য ভাগ্য কে অস্বীকার করতে পেরেছি কী?
সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস না করে উপায় কি যখন আমার ভাগ্যের নিয়ন্ত্রক আমি নই।
আমি জানি কাজ করতে হবে কিন্তু ফলটা যে এই হবে তা কোন থিওরি দিয়ে আবদ্ধ করা যায় না।
মানুষ তার প্রয়োজনে কিছু একটা দাঁড় করিয়েছে ঠিকই।
Error মুক্ত কী? আবশ্যই নয়।

সব সময়ই একটা ঘোর এর মধ্যে থেকেছি।
যখনই মনে হয় দিশেহারা আমি হদিস পেয়েছি তখনই অন্য একটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায়।
কখনো কোন ব্যাপারে স্থিতি নেই।
বিশ্বাস থেকে অবিশ্বাসী আবার বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি।
এখন মনে হচ্ছে সব কিছুই আপেক্ষিক।
বেঁচে থাকাটাই আসল যদিও অবশ্যই মরতে হবে।
অথচ আমাদের আসল ঠিকানাটাই ভুলে যাই।
বহু বছর পর মৃত্যুকে কি আসলেই মানুষ অতিক্রম করতে পারবে?!
যদিও নয়,হলে মানুষ আরো অসহায় হয়ে যাবে।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতা সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজনীয়তা আরো বাড়িয়ে দিবে।
মাঝ সমুদ্র থেকে দিগন্ত কাছে ঠেকলেও উপকূল বহু দূর।
ডুবন্ত অবস্থায় বাঁচার জন্য অনেকেই অনেক মিথ এনে হাজির করবে,হয়তো হুমড়ি খেয়ে পড়বো মরিচিকার পেছনে।
দিন শেষে কি হবে,ধ্বংস?
সততা,মানবতা, ভালত্ব সবই মেকি ,আপেক্ষিক।
আজ যে ভাল সে কি খারাপ হতে পারেনা?
তোমার কাছে খারাপ,আমার কাছে?
হয়তো নয়,হয়তো এটা আপেক্ষিক আমার কাছে।
আফসোস !
আমরা সবাই মিষ্টি কথায় ভুলি।
চাটুকার কথায় মজা পাই।নিজের বুকে সাহস করে হাত দিয়ে কী বলতে পারবো আমরা বিভ্রান্ত নই?

আমিও বিভ্রান্ত হয়েছি বার বারে ।
কখনো ইচ্ছায়,অনিচ্ছায় ভালবেসে।
অনেকে বলে খেলা, কেউ বলে পরীক্ষা।
তা যাই হোক সৃষ্টিকর্তা আমাকে দেখিয়েছে,কালে কালে।
এখন বলবো তার আশীর্বাদ।
অন্তত কোন কালেই তিনি আমাকে ত্যাগ করেন নি।
কি হতাশায় কি আশায় অথবা ভালবাসায়।

তিনি দিয়েছেন।
সব সময় ।
এমন কিছু লোক,এমন কিছু সুযোগ।
হয়তো আমাকে অভিজ্ঞ করার জন্য।
পূর্ণতা আনার জন্য।
শিখেছি, জেনেছি, বুঝেছি কিন্তু ধরে রাখতে পারিনি।
এটাও সৃষ্টিকর্তার খেলা!
আমি নিজেও খেলেছি ,কখনো বুঝে ,কখনো না বুঝে ।
কখনো বা অন্যের প্ররোচনায়।
আবেগে কেঁদেছি হেসেছি।
জানায় অজানায়,কাঁদিয়েছিও।
শিখেছি এবং প্রতিনিয়ত শিখছি খারাপটা,কতটুকু খারাপ হওয়া যায়।
কিন্তু সবাই সীমা অতিক্রম করতে পারে না।
পিছুটান দেয় বাপদাদার হারানো ঐতিহ্য।
তবু এটাই আমি,সমকামি।

কি অর্থে সমকামি সেটা বলতে পারবো না।
ছোটবেলা থেকে কি না সেটাও।
বালসুলভ চপলতা আর শেখার আগ্রহে,কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়তো।
সব ছেলের প্রতি ও যে আকর্ষণ তাও নয়।
যাদের প্রতি তারা প্রত্যেকেই especial ।

প্রত্যেকটা ক্রাশ হওয়া পেছনের কিছু কথা থাকে।
কারণ থাকে।
প্রথম দেখাতে ভাল লাগে কখনো প্রেম হয় না।
যারা বলে ,হয় ভুল বলে, না হয় প্রেমের কি জিনিস সেটাই বুঝে না।
অনেকটা উত্তেজিত হয়ে আগেই বীর্যপাতের মত,kiss এ sex সমাপ্ত।
প্রেম হলো অনুভূতির আর এক নাম!
ভালবাসা হবে দুজনে।
দুটি ভিন্ন হাতের তালি বাজানোর মত।
এক সাথে।
ছন্দময় রিদম।
প্রথম ক্রাশ অনেকের কাছে প্রথম প্রেম বলে বিবেচিত হয়।
আর প্রথম প্রেম কখনো ভোলা যায় না।
অথচ আমার প্রথম ক্রাশ sex দিয়েই শুরু।
ঐটা প্রেম ছিল না।
বুঝতে শেখার আগেই ওর প্রতি আকর্ষণ শেষ!!
এর পর,সত্যিকার অর্থে কারো crush এ পড়লে..সে ছিল একটা মেয়ে।
আমার প্রথম ক্রাশ।
তার চুল,মিষ্টি চেহারাটার একটা ভাব,গাজীপুরের লাল মাটির মত গায়ের রঙ্গ সত্যিই আমায় মুগ্ধ করে ছিল।
প্রথম যে দিন চট্টগ্রাম থেকে আমাদের স্কুলে আসে,পেছন থেকে চুল দেখেই ক্রাশ খাই।
একসময় ফিদা।
তার পর তিন বছর..!
যে দিন স্কুল ছেড়ে আসলাম বিদায় নিতে পারি নি।
আসলে বিদায় নেওয়ার মত সাহস ছিল না ,অনেকটা ভাল এই বন্ধুর কাছ থেকে।
দোতলায় তার ছলছল চোখ বাইরের গেট থেকে ঠিকই আমি দেখেছি,কৌশলে !
এর সাতদিনের মাথায় সেও ছেড়ে দেয় স্কুলটা।
পাঁচ বছর পর এক ঈদে তাকে দেখি।
তার boy friend এর সাথে।
বিশ্বাস করো সেদিন একটুও কষ্ট পায়নি বরং হাফছেড়ে বেঁচেছি যেন!!
ততোদিনে আমি দ্বিতীয় ক্রাশ আর প্রথম প্রেমে।
হ্যাঁ!
এটাই রাসেল।
ওকে নিয়ে গোটা একটা উপন্যাস লিখা যাবে।
তিন বছরের প্রেম যে!
দেখতে cute একটা ছেলে।
টিউব লাইট।
আমার জীবনের অন্ধকার একটা অধ্যায়।
এতকিছুর পরও ঘৃণা করতে পারছিনা কখনো,তাকে।
মাফও করবো না কখনো।
প্রতিশোধ নিবই একদিন।
তিনটা বছরের দুটা বছরই নষ্ট করলাম।
একই সাথে সবচেয়ে ভাল আর খারাপ সময় পার করেছিলাম।
বয়সে কম,আবেগী,আর বোকা ছিলাম তো… খেলাটা ভালই খেলে ছিল।
আসলে সবাই সব কিছু ধারণ করতে পারে না।
হজম হয় না আসলে……

তখন university তে নতুন ভর্তি হয়েছি।
ক্লাস করবো কি, rag খাওয়ার ভয় ছিল যে!!
ভাইয়া আপুরা আসতো।
ভয়ে জড়সড় হয়ে থাকতাম।
তখনো ছোট মন!
ছোট ছোট ভাল লাগা।
এক একদিন বড় ভাইয়ারা আসতো আর cute, gudlooking,smart ভাইয়াদের crush খাইতাম।
সব শেষে আসলো আমাদের আগের ব্যাচের ভাইয়ারা।
B section এর নাফিস ভাই,সেদিনই তোমার crush খাইছি।
আজ তুমি আমার ভাল একটা বন্ধু ,বড় ভাই !
যদিও মেহেদি ভাইকে সবচেয়ে বেশি ভাল লাগতো

নাফিস ভাই I O U !
তোমার politeness,তোমার style,তোমার হাসি আমার অনেক ভাল লাগে।
আর তুমি জানো যে আমি তোমাকে ভালভাবেই follow করি।
হ্যাঁ, তোমার style গুলো plz নকলের দায়ে আবার case করে দিয়ো না যেন!!
ভুলে তোমাকেই আটক করে ফেলতে পারে……
একদিন!!
ভারসিটি থেকে বাসায় ফিরছি।
আনমনে।
জানলায় বসে রাস্তা দেখছি প্রতিদিনকার মত(পেছনে ছুটে চলছে সবকিছু আর আমি এগোচ্ছি,আবেগ আর পিছুটান ,কিছু হারানো স্মৃতি পরতে পরতে রেখে যাচ্ছি )।
মহাখালিতে দুটা ছেলে উঠলো।
cute ছেলেটা বকবক করেই যাচ্ছে!
ওর বন্ধুটা খালি সিট দেখে বসে পড়লো আর ও দাড়িয়ে।
বাসে ওঠার সময়ে আমার চোখ পড়লো ওরপ্রতি।
ধাক্কার মত কিছু একটা খেলাম।
feel টা আসলে বলে বুঝানো যাবে না।
আবার ল্জ্জা লজ্জাও লাগছিল।
চোখ ফেরাই আবার অজান্তেই আর একটু দেখতে ইচ্ছা করে।
হঠাৎ সিট খালি হওয়াতে ও এসে আমার পাশে বসলো।
বকবক করতেছিলআমার সাথে না,আমার দিকে পিঠ দিয়ে বন্ধুর সাথে।
আমার অস্বস্তি লাগছিল আবার ভাল ও লাগলো।
বন্ধুর পাশের সিটটা খালি হলেও উঠলো না।
তার পর গেয়ে উঠলো তুমি কি সাড়া দিবে??!!!
গানটা যে আমার জন্যই গাওয়া বুঝতে অনেকটা দেরি হল।
ততোখনে কিংকর্তব্যবিমুর আমি।
লজ্জা, ভাললাগা আর অন্য রকম এক অনুভূতি পূর্ণ একটা হৃদয়ের ভেতর ড্রাম বাজা শুরু করলো।
নাহ!
সাড়া দিতে পারি নি বন্ধু তোমাকে।
বিশ্বাস করো আমি ঠিকই crush খাইছি তোমার প্রতি।
ল্জ্জা আর hesitation আমাকে বাধা দেয়।
যখন তুমি বনানীতেই নেমেগেলে খুবই আফসোস লেগে ছিল ।
আর একটু কি যাওয়া যেত না?
এভাবেই কত রাস্তায় কতজন হারিয়ে যায়।
আশা থাকে হয়তো আবার দেখা হবে।
পৃথিবীটা গোল তো!!
তারপর সময় বহু দূর গড়িয়েছে।
জীবনের ঘড়িতে আর একটু সময় যোগ হলো ।
অভিজ্ঞতাও বাড়লো।
ছোট বেলার সে আবেগ ধীরে ধীরে ফিকে হতে থাকলো।
যত বড় হচ্ছি ততোই অমানুষ লাগছে নিজেকে।
অমানুষের ভিতরে মানুষ!!
অসম্ভব।
ড্রেনে বসবাস করে যতই সুগন্ধ মাখি,দুর্গন্ধই বের হবে।
মগলি, টারজান জঙ্গলে বাস করে কিন্তু মানুষ হতে পারেনি।
মানুষ হওয়ার জন্য লোকালয়েই আসতে হয়।
রাসেলের ব্যাপারটা আর ভুলতে পারলাম না।
বন্ধুদের মাঝে মন খারাপ করে থাকতাম,বাসায় রাগারাগি,আড্ডা দিচ্ছি হাসা হাসি করছি,হঠাৎ মন খারাপ হয়ে যেত।
ভেসে উঠতো কালো অধ্যায়।
ধকলটা সইতে পারি নাই।
পড়ালেখা তখন লাটে।
ফলাফল semester drop।
Readmission নিলাম।
ছোট ভাইদের সাথে ক্লাস করছি।
ভালই!সবাই helpful ছিল।
ওদের একটা group এর সাথে ভালই জমে উঠলো।
ওরা ছয় জন ছিল ,তিনজন drop খেয়েছে।
ভাগ্য খারাপই বলতে হবে।
কারণ drop এর মধ্যে হাসিব ও আছে।
হাসিব হলো আমার fb ফ্রেন্ড এবং cute এ ছেলেটা আবার প্রকাশ্যে into men।
University তে rag দিতে গিয়ে যে ছেলেটার প্রেমে পরছি সে হাসিবের ফ্রেন্ড।
সাকিব।ও এখন আমার ভাল বন্ধু ,ছয় জনের একজন!!
crush প্রথম দিনই খাইছি তর সাকিব।
কিন্তু তোর বড় ভাই কখনো তোকে বলবে না।তোর মত দুষ্টু কে আমার পক্ষে control করা সম্ভব না।
আর তুই love deserve করতেও পারবি না। স্বভাব change কর!
বুঝলি রে বোকা আমার উদ্দেশ্য তুই না,তর ফ্রেন্ড হাসিব।
ফেবুতেই ওর প্রেমে পরছি।
তারপর knock করে জানতে পারি id টা নাকি fake।
আমার বিশ্বাস হয় না।
এখনো আমি confuse!!
তোমার real id আর fake id একই।
তোমাকে পেলে মনে হয় না অন্য কারো দিকে আর মন দিব!!
i m really into u hasib,মুখে বলার সাহস হয়তো পাব না তবে ভেতরের খবর তো আমি জানি।
plz চলে আস,বুকে অথবা বাহুডোরে।
আমি জানি আমার চেয়েও cute,gudlooking ছেলেপেলে তার চারপাশে,তোর class met,তর বন্ধু ,এমন কি তোর room met ও।
আমি কি ভাবে সাহস করবো বল?!
তোকে পাওয়ার চেয়ে হারানোর ভয়ই অনেক বেশি রে..
ভালবাসলে হারানোর ভয় থাকবেই,ওটা অমূলকও নয়।
break up এর preparation নিয়েই তোমার প্রতি weak হয়েছি।
অবশ্য বুঝে শুনে তোমার প্রেমে পরিনি।
আসলে প্রেমই যে আমার উপর পড়েছে।
হবেই না কেন!
Take care,Innocent look, Cuteness,সামাজিকতা,politeness এত্তো এত্তো যোগ্যতা তোমার।
সবাই তোমাকে like করে,আমি হয়তো একটু বেশিই।
তাই হিংসেও হয় প্রচুর আর হারানোর ভয় তো আছেই।
তাই কেউ তোমার প্রশংসা করলে ছেত করে উঠে হৃদয়,এই বুঝি হারিয়ে ফেলবো।
তোমাকে হয়তো পটাচ্ছে,ভালবাসা অথবা তোমার একটু সান্নিধ্যের জন্য।
আমি কিভাবে সহ্য করবো?
তোমাকে ভালবাসি এক দিনে না..আবার crush ও একদিনে খায় নি,ধীরে ধীরে অনেকটা সময় জুড়ে,একটা বছরে।
স্বভাবতই ফ্রেন্ডদের সাথে relation like করি না আমি।
কলেজ একই তবুও ফ্রেন্ডও ছিলে না তখন।
বোকা বাউন্ডলে ছেলে হিসেবে ভালই নাকি পরিচিতি ছিল তোমার।
যখন প্রথম দেখলাম রাসেলের অধ্যায় শেষ তখন।
তুমি আসলে পরিচিত হলাম,অনেক দিন পর আবার আসলে।
ততো দিনে ভুলে গেছি।
স্মৃতির সেলুলয়েডে হয়তো হালকা image থেকে গিয়েছিল অথবা মনের অজান্তে crush খেয়েছিলাম,বুঝতেও পারিনি আমাকে।
যত দিনে বুঝলাম অনেক close হয়েগেছি আমরা তখন।
বন্ধুমহলে আমাদের নিয়ে কথা হতে লাগলো।
আমাদের খুনশুটি,মৃষ্টি ঝগড়া,রাগ,অভিমান সবারই দৃষ্টি কারতো।
জানতে চাইতো কে কার বউ।
আমি enjoy করতাম ,তুমি লজ্জায় লাল হতে।
জানি বরাবরই তুমি মেনি মুখো।
আমার কি দোষ বলো?
আমি তো চাই তুমি আমার হও।
ধীরে ধীরে আমরা সরে যাচ্ছি।
তোমার অনেক গোপন কথা আমায় বলে ছিলে,হয়তো সে বিশ্বাস আমি রাখতে পারি নি ।
কি করবো বলো ?
যখন তুমি অবহেলা করো আমি হিতাহিতজ্ঞানশূণ্য হয়ে যাই ।
কি করছি বা কি বলছি কিছুই ঠিক থাকে না ।
তোমাকে হয়তো আঘাতও দিয়েছি।
প্রতিঘাতে তার চেয়ে বেশি কষ্টো পেয়েছি।এখনো পাচ্ছি।
তোমার সাথে আমার বন্ধুত্বটা তোমার জন্মদিন থেকে,এবং ঐ দিনই অনেক deep হয়।
তোমাকে দেয়া আমার surprise!কেক নিয়ে অপেক্ষা।
অনেকটা আবেগের বহিঃপ্রকাশ।
তুমিও দিয়েছিলে যোগ্য প্রতিদান।
ভুলিয়ে দিয়ে ছিলে রাসেলর ক্ষতটা।
মরুভূমির মাঝে নহরের মত একটুকরো শীতল অনুভূতি।
নতুন করে আশার আলো।বেচে থাকার অবলম্বন ,একটুকরো ভালবাসা।
নিঃস্বার্থ।
আসলেও কি?
তবুও কখন যে ভাল বেসেছি!!
আমি বুঝতে পারি নি যে আমরা এতটা এগিয়ে গেছি!
রাগ,অভিমান,ক্ষোভে দূরে সরে থাকি।
মনটা কে বাধবো কি দিয়ে?
সকালে ঘুম থেকে উঠে তোমার নামই জপি।
আবেশে বালিশকে জড়িয়ে ভাবি এত তুমি..
হ্যা অয়ন!
এটা crush না রে ।
এটাই প্রেম।
ধীরে ধীরে এগিয়েছে।
ঘনিষ্টভাবে,আবডালে আড়ালে।
মনের অজান্তে।
ভাবিনি feeling’টার অন্য রকম মানে হবে।
বেষ্ট ফ্রেন্ড থেকে অন্য কিছু।
তর ব্যবহার,বলা কথা,প্রতিটি movement একই সাথে আশা জাগায় নিরাশও করে।
একটা ঘোরের ভিতর আছি রে।
তুই যদি না বুঝছ অন্যে বুঝে লাভ কি?
দুরত্ব যাই থাকুক কাছে রাখবি তো?
এভাবেই।

বন্ধুর চেয়ে বেশি কিছু হয়ে ২৯-১২-১২ তে তোর সাথে ঘনিষ্টতার ফলস্রুতিতে এখন আমরা এ পর্যন্ত।
সময়ের আলাদা স্রোতে হয়তো আবার আমাদের পথ ভিন্ন হবে।
কোন দূরবর্তী মোহনায় হয়তো মিলিত হবো নয়তো আরো দুরে সরে যাব।
আমাদের ভালবাসার রেশ থাকুক,অনন্তকাল।
পাওয়া না পাওয়া হিসেব না মিলিয়ে,অভিমানে মন না ভিজিয়ে,মেচুরিটি দেখিয়ে,কাছে বা দুরে থেকে,অভিযোগ না ভাঙ্গিয়ে,সস্তা আবেগের খেতা পুরে।
অতৃপ্ত মননে যখন তোর চোখে তাকাবো ভুলে যাব সব,গ্লানি অবসাদ।
জানি দু্ষ্টু গরু থেকে শূন্য গোয়াল ভাল।
তোকে পেয়ে হারাতে পারবো না রে।
নাই মামা থকে কানা মামা ভাল যে।
ভালই তো আছি।
বন্ধনহীন বন্ধনে।
কোন দায়িত্ব নেই,অনুযোগ নেই,বোঝার কোন ভুল নেই।
শুধু আবেগ,শুধু অভিমান।
হয়তো একটু feeling’s বন্ধুত্বের বা তারচেয়েও বেশি।
দিন শেষে ঘরে ফেরা,মধুর স্মৃতি,কিছুটা পিছুটান।
সর্বনাশী নয় এটা।
প্রতিদিন একটু একটু করে ভালবাসবো,পিছুবো এগুবো।
কখনো পুরোনো হবো না,শেষ করে ফেলেছি এ feel টাও আসবে না।
তেল দেওয়া বাঁশে চড়ার মত।
চক্রাকারে ঘুরছি শুধু………!!!

বাঁশ খেয়েছি ,বাঁশ দিয়েছি।
প্রতিদিনই একটু একটু করে শিখছি,শিখাচ্ছি।
এর শেষ কোথায়,মানুষ তো?
খারাপের ও একটা সীমা থাকে,শুধু বোঝার ভিন্নতা।
আবেগ,প্রেমভালবাসা,হটকারি আর জ্ঞানসল্পতায় আসল জিনিসটা চিন্তে পারি নাই।
বুঝতে পারি নাই আপেক্ষিক theory কে।
পাওয়াটাই সব না।
আর পৃথিবীতে পাওয়ার বিষয় খুব কমই,যাও, তা আবার নশ্বর।
ঈশ্বরে বিশ্বাসটাই আসল।
রাজা আমার control এ থাকলে রাজ্য দখলের দরকার কি?!!
মহারাজা তো আমাদের উপর crush খেয়েছি ,আমি নই কেন।
দেখা যায় না বলে?
দুমুখো!!!
যাই করি,যাই ভাবি ,দিন শেষে তার কাছেই ফিরতে হবে।অন্ধকার ঘরে,তার আশ্রয়ে।
আমরা মানুষরা আসলে বাধ্য ।
ছলাকলা যাই করি না কেন তার মহান crush এ ধরা দিতেই হবে,আজ অথবা কাল।
হয়তো সময় থাকবে, নয়তো থাকবে না।
স্রষ্টার তাতে কি এসে যায়।
ভালবেসে ছিল দাম দিতে পারি নি….

………………শেষ…………………..
বিঃ দ্রঃ এ লেখাটা অয়নের উদ্দেশ্যে উৎসগকৃত ,২৯ তারিখে ওর ধরায় আগমন উপলক্ষে

14 thoughts on “Crush – রাসেল আতিফ মীনময় এর লেখা বিশেষ গল্প

  1. আমি যাকে দেখে ক্রাশ খাই তাকে কখনো সেটা বলতে পারবো না।

    Like

মন্তব্য করুন